কষ্টের বেহায়া নাচন

কষ্ট (জুন ২০১১)

এফ, আই , জুয়েল
  • ২২
  • 0
# আত্বার গভীরে গোলমাল শুরু হয়ে গেছে । সবখানে তালগোল পাঁকিয়ে যাচ্ছে । কোনো কিছুই আর ভালো লাগে না । মনে হয়,--- এখানে- োখানে- যেখানে- সেখানে পালিয়ে গিয়ে বাচিঁ । কিন্তু পালাবো কোথায় ------ ?
ঐ যে,-- চারিদিকে আসমান কেমন ঘিরে রেখে দিয়েছে ।

ভেবে চিন্তে ঠিক করলাম,---- তোমার কাছে যাবো । কিন্তু কে তুমি ? তাতো জানি না । হ্যাঁ, হ্যাঁ--- মনে পরছে । তোমাকে গন্ধম তলায় দেখেছিলাম । পরনে ছিল বাহারী পোষাক । আর দেহ-পল্লবে অপূর্ব রূপের ঝলক । কিন্তু তোমার অন্তরের খৌঁজ নেয়াই হয় নি । সেটা আজো অধরাই থেকে গেলো ।

বন্ধুর খোঁজে বন্ধু দিশেহারা । পথের বাঁকে বাঁকে যত জটিল যাতনা । " ক্লান্ত- শ্রান্ত অবশ দেহে আশাবাদী মনে "--- আমি বড় একা । অনন্ত তৃষ্ণালয়ে চলছি ছুটে-- ঐ মুখ পানে । সততার খুশবু যেনো স্বর্গীয় সুবাস আনে ।

পতিতা পল্লির মনোরম প্রাসাদে অট্রহাসিতে চারপাশ কাঁপিয়ে এক অদ্ভূত অপরুপ যুবতী সততার চ্যালেন্জ দিল ছুড়ে । দেহ-পল্লবের সব পাপড়ী মেলে ধরে জীবনের ব্যাখ্যা করে করে রম্য-মঞ্চ মাতাইয়ে দিল । রাতের আধাঁর লজ্জায় অপমানে লাল হয়ে গেল । যুবতীর চঞ্চল-চপলতা এবং বাক পটুতা একটুকুো কমলো না । বিদায়ী হাসিতে মশকরা মিশায়ে বলল যখন,------
" আরে ো ভ্রান্ত মন /
আগে করো দেহের নিরাপন" ।

আমি অবাক হলাম । ভাবতে লাগলাম,--- এই রুপসী কোন্ জ্ঞানে হলো জ্ঞানবতী ? আমার সব ভালো নিমিষে-ই শেষ হয়ে গেল । শেষ পলক ফিরিয়ে নিতে না নিতেই রুপসীর আধো হাসিমাখা সেয়ানা কন্ঠ দারুন সুরে বলতে লাগল,= =
" ধান্ধাবাজীর পাল্লায় পইরা আন্দাজে করলে সাধন,
তাতে কি মিলবে তোমার পরম ধন ?"

মন্ত্র-মুগ্ধের মত রুপসীর পানে এগিয়ে গেলাম । বললাম , তুমি এই জ্ঞান কোথায় পেলে ? ঠোট বাকানো হালকা হাসি দিয়ে রুপসী বলল,-- বাস্তবতার কঠিন আঘাত থেকে আমরা জ্ঞান অর্জন করি। জীবনে সফলতার জন্য দুঃখ, কষ্ট এবং বেদনার ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে । দুঃখ-কষ্টকে ভালোবাসতে না পারলে জীবনটাই বৃথা । আমাকে এগিয়ে দিতে দিতে হালকা আোয়াজে গান গেয়েছিল,--- আরে ো হাোয়া ভাবনারে / মাটির প্রদীপ নীভু নীভু করে / বন্ধু পেয়েছিলাম এতদিন পরে / বন্ধুকে ধরে রাখি কেমন করে ? সব শেষে হূদয় ভরা আশা নিয়ে বলল,--- সময় পেলেই এসো । আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকব । অনেক গল্প হবে । তোমার সাথে গল্প করার মজাই আলাদা । এসো কিন্তু,----- আমি হাত নেড়ে চলে এলাম ।

বন্ধুকে খুজেছি বহু । দেখা পাই নি । সে এখন আধ্যাত্মিক পথের ব্যস্ত মুসাফীর । হয়তো কোন একদিন দেখা হতেো পারে ।

বহুপথ ঘুরে বহুদিন পরে নিরাশার সাগর পাড়ি দিয়ে আবার গেলাম পতিতা পল্লির সেই যুবতীর কাছে ।ভুবন মাতানো হাসি দিয়ে আমাকে বরন করে নিল । তারপর অতিথিকে সম্মান জানানোর সব আয়োজন শেষ করে মদের বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল,---- চলবে,-- ইচ্ছা হলে নিতে পারো ।

কষ্টে ক্ষত-বিক্ষত হূদয় আমার । কি বলি, কি গল্প করি ? কিছুই ভালো লাগছে না । আমার দিকে এগিয়ে আসা যুবতীর অপরুপ চাহনি দেখে অবাক হলাম । ঐ চাহনির এত রুপ, এত সৌর্ন্দয ! যেন সতী চোখে বেহেস্তী দ্যুতি বিদ্যমান । দরদ ভরা কন্ঠে সে বলল,--- কি হয়েছে ? কিসের এত কষ্ট ? যেন মনের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে !

অনেক গল্প হলো, রাত গভীর হলো । জলসা ঘরের নুপুরের আোয়াজ বাড়তে লাগলো । ঘরের আলো হালকা করে দিয়ে, মাথায় ঘোমটা টেনে যুবতী অপুর্ব সতী সাজে সেজে এলো । এখন সে ধ্যনে বসবে ।তার সাথে ধ্যান করার আমন্ত্রণ আমি কৌশলে এড়িয়ে গেলাম । মেঝেতে আসন পেতে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে সে ধ্যনে বসল । চোখ বন্ধ করে এক মনে এক ধ্যানে কি য়েনো ভাবতে ভাবতে ফুপিয়ে কাদঁতে লাগল । ধীরে ধীরে কাঁন্নার শব্দ কমে গেল । কিন্তু চোখের পানি অঝরে ঝরতে লাগলো । তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে, গভীর তন্দ্রায় আমি বিছানায় গা এলিয়ে দালাম ।

সকাল হয়ে এলো । যুবতীর হাতের ঝাঁকুনিতে অ-পরিনত গভীর ঘুম ভেঙ্গে গেল । চোখ খুলে দেখি, যুবতীর মিষ্টি হাসি । সেই সাথে নাস্তা খাবার জন্য সমস্ত দেহের ভক্তি মাখা অপূর্ব নিবেদন ।

ধ্যান শেষে সদ্য স্রাত যুবতীকে খুব সুন্দর লাগছিল । ধ্যনের প্রভাবে তার সমস্ত শরীর এবং মন যেন এক অনাবিল সৌন্দর্য এবং পবিত্রতার আবেশে আচ্ছাদিত হয়েছিল । সে এক স্বগীর্য় অনূভুতি । তার মুখ পানে চেয়ে অল্প সময়ের তরে খুজিয়া পেয়েছিনু-- শত জনমের সুখ; অদ্ভুত,- অপরুপ ।

কেনো জানি মনে হয়েছিল,------
ধ্যানের ক্রন্দনে পবিত্রতম ঐ দুটি চোখ শুধুই আমার, কেবলি আমার । ঐ চোখে দেখিয়াছি অনন্ত-অসীম আকাশের নীল, মমতার রঙে রাঙ্গা একরাশ জল, সাতটি সাগর ।

শত-সহস্র প্রেমের ব্যাকারণ আড়াল করে , তার দেহ-পল্লবের মধুময় সব আচরন বার বার ইশারা করেছে আমায়,--- তার সাথে জ্ঞান সমুদ্রে সাতাঁর দিতে ।

সত্য,সুন্দর এবং পবিত্রতার সীমার মাঝে , আমি তাকে আপন করে নিলাম,-- " দেহ হতে দুরে , মনের কিনারে " । কষ্টগুলো ধীরে ধীরে হালকা হতে লাগলো এক অনাবিল আনন্দের তীব্র স্রোতে । আমার কেনো জানি মনে হতে লাগলো,---" তার কাছেই চাবি আছে আমার প্রানের সুখ-দুঃখের ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Azaha Sultan ...আপন করে নেওয়া সত্যিই উদার...তবে গল্পবর্ণনা থেকে একটু বিচ্যুত, সাজিয়েগুছিয়ে লেখলে খুব ভাল লাগত। কামনা রইল ভবিষ্যতের জন্য...
এস, এম, ফজলুল হাসান ভাই আমি গল্প-কবিতা বুঝি না , আপনার লিখাটা আসলে কি ? গল্প নাকি কবিতা ? তবে যাই হোক আপনার চিন্তা - শক্তির প্রশংসা না করে পারছি না , ধন্যবাদ
সাইফুদ্দিন মাহমুদ vai ami oto boro maper kobi noe. tai montobbo korar moto joggota nai. valo.
onamika ভালো .খুব ভালো.
রনীল জীবনে সফলতার জন্য দুঃখ, কষ্ট এবং বেদনার ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে । দুঃখ-কষ্টকে ভালোবাসতে না পারলে জীবনটাই বৃথা ... এই কথাটি আমরা কেউ মানতে চাইনা... কষ্ট না করলে অর্জনের আনন্দ ফিকে হয়ে যায়... লেখায় যত্নের অভাব আছে, তা সত্ত্বেও আপনার প্রতিভা সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। শুভ কামনা।
হামিদুর রহমান ভাই এটা মনে হয় গল্পকাব্য লিখেছেন। মোটামুটি হয়েছে
Abu Umar Saifullah এত নাচে কেন? আপনি বন্দু নুপুর ঝংকার থেকে নুপর পরিয়ে দিন দেখবেন কষ্টরা বেহায়া হয়ে আর নাচবে না বরং নুপরের তালে তালে নাচবে. আসলে অনেক ভালো লাগলো, সাহিত্যের ভাষাত. কষ্টের অনেক রূপ দেখতে পেলাম এই সংখ্যাতে
sakil ভালো লেখা , তবে যত্ন সহকারে লিখলে আরো বেশি পাঠক আকৃষ্ট হত . নিয়মিত লিখবেন . আপনার জন্য শুভকামনা রইলো .
Ohona shams লেখার মধ্যে প্রাণ আছে । চমত্‍কার কবিতা ।
মোঃ আক্তারুজ্জামান আপনার লেখাটি গদ্য হলেও এতে পদ্যের কোমলতার মাখামাখি আছে......|

১৩ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪